সাজগোজ, মেকআপ, দামি অলংকার — কিছুই যেন তাকে সত্যিকারের সুন্দর করে তুলতো না

 

গল্প: "সৌন্দর্যের প্রতিচ্ছবি"

রিনার চোখে সবসময় ছিলো একটা অদ্ভুত কষ্টের ছায়া। সাজগোজ, মেকআপ, দামি অলংকার — কিছুই যেন তাকে সত্যিকারের সুন্দর করে তুলতো না


। সবাই বলতো, “রিনা সুন্দর, কিন্তু কিছু একটা যেন অসম্পূর্ণ!”

একদিন হঠাৎ করেই তার জীবনে এল ফারুক। খুব সাধারণ এক মানুষ। চাকরি করেন একটা ছোট বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। মুখে সহজাত এক আন্তরিকতা, চোখে দায়িত্ববোধ আর কথায় দারুণ সম্মানবোধ।

প্রথমবার যখন রিনা অসুস্থ হয়ে পড়লো, ফারুক ছুটে গেলো তার বাসায়। ডাক্তার, ওষুধ, পথ্য — সবকিছু নিজ হাতে করলো। তখন রিনা প্রথম বুঝলো, যত্নের মাঝে এক অন্যরকম সৌন্দর্য লুকিয়ে থাকে।

সময় গড়াতে লাগল। অলংকারহীন সাদামাটা রিনাকে ফারুক যেভাবে সম্মান করত, সেভাবে কোনো মানুষ আগে কখনো করেনি। “তুমি জানো, তোমার হাসিই তোমার আসল গহনা,” একদিন ফারুক বলেছিল।

রিনা অবাক হয়ে দেখলো, ধীরে ধীরে তার চারপাশের মানুষজনও বলছে, “তুই তো আগের চেয়ে অনেক বেশি সুন্দর হয়ে গেছিস!” সে নিজেই আয়নার দিকে তাকিয়ে দেখে, তার চোখে এখন আলো, ঠোঁটে হাসি, আর মনে গভীর শান্তি।

অবশেষে রিনা বুঝতে পারে, সৌন্দর্য কখনোই অলংকারে নয়। সৌন্দর্য তখনই সত্যিকারের রূপ পায়, যখন পাশে একজন সৎ, চরিত্রবান এবং যত্নশীল মানুষ থাকে।

সেই মানুষটিই রিনার জীবনের সেরা অলংকার হয়ে দাঁড়ায়।



إرسال تعليق (0)
أحدث أقدم