আমি ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত সেদিনই নিলাম যেদিন আমার সো কল্ড কুল শ্বাশুড়ি মা আমার সংসার এবং তার ছেলেকে সামলানোর জন্য বললেন

 আমি ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত সেদিনই নিলাম যেদিন আমার সো কল্ড কুল শ্বাশুড়ি মা আমার সংসার এবং তার ছেলেকে সামলানোর জন্য বললেন


,


-- 'আমার ছেলে এখন বড় চাকরি করে,তুমি চলে গেলে তার লাইনে একশো মেয়ে দাঁড়াবে,কিন্তু তোমার হবে কলংক।'


সত্যিই তো একেতো ব্রোকেন ফ্যামিলির মেয়ে,বয়স ত্রিশ ছুয়েছে,দেখতে এভারেজ,এমতাবস্থায় আমার স্বামী মহাদেবের ওজন ৯৫ ছাড়িয়ে গেলেও সে সুপুরুষ, মাথার চুল সব সাদা হয়ে গেলেও তাকে বলা যায় গ্রে হেয়ার হ্যান্ডসাম।আর আমার বায়ান্ন ওজনেই শুনতে হয়েছিলো একি একেবারে মহিলা মহিলা লাগছে।


আমি মনে মনে ভাবতাম মহিলা/নারী আমি, তো তা লাগলে ক্ষতি কি! কেনো মেয়েদের ষোড়শী লাগাটা জরুরি আমি জানিনা।সে যাই হোক।মনের দুঃখে হোক কিংবা দহন জ্বালায় অত্যন্ত গর্হিত কাজটি করে ফেললাম,সেদিন ভোরে হাঁটতে হাঁটতে আমাদের বাসার এদিকেই এক পার্কে গেলাম,পার্কে যাওয়াটা গর্হিত কাজ নয়,কাজটা ঘটলো তার কিছু বাদে।


আমার স্বামীর বয়সী এক লোক আপন মনে কানে হেডফোন গুঁজে গান শুনতে শুনতে এক্সারসাইজ করছে।ভীষণ সুন্দর সুঠাম শরীর,চোখে মুখে আলাদা দীপ্তি ঝরে পড়ছে।প্রচন্ড বিধ্বস্ত আমার মনে হলো এই লোকটা জগতের সুখী মানুষের একজন।কেনো মনে হলো জানিনা।মনে হলো তার পাশাপাশি দাঁড়াই,জিজ্ঞেস করি, ‘আমাকে একটু সুখে থাকার মন্ত্র শিখিয়ে দিবেন।এই দুনিয়া আমাকে সুখী হতে দিচ্ছেনা।’


এসব ভাবতে ভাবতেই কখন যে আমি লোকটির পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছি জানিনা।ধ্যান ভাঙলো যখন কান থেকে হেডফোন খুলে আমার দিকে তাকিয়ে বললো,


-- 'কিছু বলবেন ম্যাডাম?'


আমি চমকে তাকালাম।ভীষণ বিব্রত বোধ করে বললাম,


-- 'সরি প্লিজ।আমি আসলে একটু এবসেন্ট মাইন্ডেড হয়ে ছিলাম।'


উনি নির্মল হাসি হেসে বললো,

-- 'চা খাবেন? এই যে ছোট ছেলেটাকে দেখছেন ও খুব ভালো চা বানায়।'


আমি কিছু দূরে ফ্লাক্স নিয়ে বসা এগারো বার বছরের বাচ্চা ছেলেটিকে দেখলাম।মুখটা কি হাসি হাসি।দেখে মনে হচ্ছে এ জগতের সবচেয়ে আনন্দময় কাজ হলো চা বানানো।


আমি বললাম,

-- 'এই বাচ্চা ছেলে ভালো চা বানায়?'


লোকটা বললো,

-- 'হ্যা,এই গুন সে উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছে।তার বাবাও ফ্ল্যাক্সে করে চা বিক্রি করে সংসার চালাতো,মারা গেছে বছর তিনেক হলো।চলুন যাওয়া যাক।'


আমি মন্ত্রমুগ্ধের মত এগিয়ে গেলাম।আমি বুঝতে পারছি না এই সম্পূর্ণ অপরিচিত মানুষের সাথে আমি কেনো কথা বলছি,কেনোইবা তার একবার চা খাওয়ার প্রস্তাবে রাজি হয়ে যাচ্ছি।তবু মন মানলো না।মনে হলো এই মুহূর্তে এই কাজটি ছাড়া অন্য কিছু করার ক্ষমতাই আমার নেই।আমি মুখে কোনো উত্তর না দিয়ে এগিয়ে গেলাম।


লোকটি এবার প্রশ্ন করলো,

-- 'কি করেন আপনি?'


আমি বললাম,

-- 'ঘরে থাকা ছাড়া কিছু করিনা।লোকে বলে গৃহিণী, সমাজ বলে তাহিরের ওয়াইফ,তাহির বলে ঘরে শুয়ে থেকে দিনপার করা মানুষ, না মানুষ না মেয়ে মানুষ।আর শ্বাশুড়ি বলে ‘স্বামীর কর্মী, বলতে পারেন তার বাড়ির রান্নার লোক,তার মন ভালো খারাপ দেখে রাখার জন্য মাঝে মাঝে সাইকোলজিস্ট, তার ঘরের ঝি,তার রাতের মনোরঞ্জনকারী ইত্যাদি।'


খেয়াল করলাম লোকটি এক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।


আমি আবারও বললাম,

-- 'সরি।আমি বেশি কথা বলছি।'


লোকটি একথার কোনো উত্তর না দিয়ে বললো,

-- 'আমার নাম সায়েম।আমি পেট চালানোর জন্য আপনার মতই একটা প্রতিষ্ঠানে গোলামি করি।আচ্ছা আপনি কি জানেন সরকার মানে কি?'


আমি বললাম,

-- 'বিশেষ কোনো অর্থ না থাকলে সবাই যা জানে তা আমিও জানি।'


সায়েম সাহেব উচ্ছ্বল গলায় ছেলেটির দিকে তাকিয়ে বললো,


-- 'মেহমান এনেছিরে টোটন, একটা জম্মেশ চা বানিয়ে ফেল।'


টোটন দাঁত বের করে বললো,

-- 'আপনে খাইবেন না?'


সায়েম বললো,

-- 'অংকে আমি বরাবরই কাচা রে! দুটো চা বানা।'


তারপর আমার দিকে তাকিয়ে হেসে বললো,

-- 'মোঘল আমলে এদেশের স্থানীয় শিক্ষিত ধর্নাঢ্য ব্যক্তিবর্গকে ও রাজার প্রধান কর্মচারী এবং সম্পত্তি দেখাশুনার কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিকে সরকার বলা হতো।


বর্তমান সময়ে রাষ্ট্র পরিচালনাকারী রাজনৈতিক দলকে যেমন রাষ্ট্র বা দেশের সরকার বলা হয়।তার মানে বুঝতে পারলেন,সরকার আদতে শাসনকর্তা হলেও তাদেরও কাজ দেশের মানুষের সুখ সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা,মানে হলো আমরা সবাই সবার গোলাম,কি বলেন।'


বলেই লোকটা দীর্ঘ সময় নিয়ে হাসলো।আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম।লক্ষ্য করলাম,আমার মনটা ভালো লাগছে, বেশ ভালো লাগছে।চায়ে হালকা চুমুক দিলাম।খুব হালকা মিষ্টির চা,আদা ছেঁচে দিয়ে একটা দারুন ঝাঁঝালো ফ্লেভার আছে,পুদিনা পাতার একটা সজীবতা চায়ে চুমুক দিতেই পাওয়া যায়,একটু কি নোনতা ভাব আছে চায়ে?


আচ্ছা লিকারটা এতো পারফেক্ট হয় কত ক্ষন জ্বাল দিলে!এসব চিন্তায় আমি যখন ডুবে আছি সায়েম সাহেব বললো, 


-- 'বলেছিলাম না দারুন বানায়।আমি আর আমার স্ত্রী ওর বাবার হাতের চা খেয়েই প্রতি দিন সকাল শুরু করতাম,নীরার খুব প্রিয় ছিলো।'


আমি অপ্রস্তুত হয়ে বললাম,

-- 'ছিলো বলছেন কেনো? ইজ শি..... '


শেষ না করতেই সায়েম সাহেব বললো,

-- 'না না, ও বেঁচে আছে।আমরা আর এক সাথে নেই এই যা!'


আমি আবারও অপ্রস্তুত হলাম।

হাঁটতে হাঁটতে পার্কের বাইরে বেরিয়ে এসে বললাম,


-- 'আসি।ধন্যবাদ চায়ের জন্য।'


সায়েম সাহেব হাসলেন।আমার খুব জানতে ইচ্ছে হলো, ‘এতো সুখে থাকার মন্ত্র কি?’


.


তাহির সকালে উঠে মোবাইলে গেইমস খেলছে।আমি তার দিকে না তাকিয়েই জিজ্ঞেস করলাম,


-- 'কি খাবে?'


ও কি উত্তর দিলো শুনলাম না,হয়তো উত্তর দেয়নি।কারণ আমার বেশির ভাগ কথার উত্তর ও দেয়না।ইচ্ছে করে তা কিন্তু নয়।অফিস থেকে বড় চাকরি করে ফিরে এসে এক গামলা ভাত গিলে হয়তো সিনেমা দেখতে বসে, নাহয় মোবাইলে গেইমস খেলে,মাঝে মাঝে ইন্সটাগ্রামে ন্যাংটো মডেলের ছবি দেখে প্রলুব্ধ নয়নে চায়।


ঘুম ঠিম হয়নি তাই হাই তুলে ঘরে ঢুকে গেলাম।ওর উত্তর না দেয়া আজকাল আমাকে ছুয়ে যায়না।আগে যেতো,খুব অভিমান হতো। ভাবতাম আমাকে অবহেলা করছে।বুঝতে দেরি হয়েছিলো হেলা,অবহেলা করার মতও এতো মনোযোগ আমাকে দেয়ার জন্য ওর নেই।


সেদিন মৃধা আমার বাসায় এলো, সাধারণত ও আমার বাসায় আসেনা।ব্যস্ত থাকে তাই।আর তাছাড়া চাকরিতেও ভীষণ ভালো করছে মেয়েটি।এতো সুন্দরী গুনী মেয়েটাও বর খুঁজে পাচ্ছেনা।


মাঝে মাঝে মুখ ভার করে বলে,‘আমার জন্য কি কেওই নেই।’ আমি বললাম, ‘তোর একটা ইশারা সবাই লাইনে দাঁড়িয়ে যাবে।’


ও বিরক্ত চোখে তাকিয়ে বলে,

- 'ধুর সে-তো তোর ডাকেও দাঁড়াবে।এর ভিতর অধিকাংশই থাকবে যাদের চাহিদা শরীর, বাকি একাংশের থাকবে বউয়ের টাকায় বেঁচে থাকার ইচ্ছা, বাকিদের থাকবে বাহ মেয়েটাকে বিয়ে করা যেতেই পারে।'

আমি হাসি ওর কথা শুনে।


মৃধা সেদিন এসে বললো,

- 'ঘরে ইলিশ আছে?'


আমি বললাম,

- 'আছে তো!'


মৃধা ব্যাগ রেখে বললো,

- 'দারুন।আগে আমাকে তোর হাতের পারফেক্ট এক কাপ চা খাওয়া।দুপুরে শর্ষে ইলিশ।'


আমি বললাম,

- 'বাহ সময় নিয়ে এসেছিস তাহলে।'


মৃধা হাসলো।রাঁধলাম বাড়লাম পুরোটা সময় মৃধা পাশে পাশে রইলো,জগতের এমন বিষয় নেই যা নিয়ে গল্প হলোনা।যাবার আগের সময়টা একেবারে নিশ্চুপ হয়ে রইলো।


আমি আরো এক কাপ চা দিয়ে বললাম,

- 'কিছু একটা বলতে চাস,বলনা!আমাকে বলতে এতো ভাবতে হবে কেনো!'


মৃধা প্রায় মুখস্থ বাণীর মত বলে গেলো,

- 'তাহির ভাই স্পা তে যায় জানিস? স্পা টা ভালো না রিনি।ওখানে ভালো কাজ হয়না।'


আমি মৃদু হেসে বললাম,

- 'তুই মাথা নীচু করে রেখেছিস কেনো?'


মৃধা আমার চোখ বরাবর চাইলো।আমি আবারও হাসলাম।


-- 'তাহির স্পা তে যায় আমি জানি।ওর প্যান্টের পকেটে রিসিট পেয়েছি।ওখানে কি হয় তাও জানি।ওর কাছেই শুনেছি বিয়ের আগে।আবার যাওয়া শুরু করেছে দেখে আমার আফসোস নেই।বড় চাকরি করলে একটু আকটু যাওয়ার অভ্যেস থাকে আমার শ্বাশুড়ি শুনলে নিশ্চয়ই তাই বলতো।


আমি জানি তাহিরের শরীরের ক্ষুধা নেই,কাওকে শারিরীক প্রশান্তি দেবার মত নেই।হয়তো নিজের খানিক প্রশান্তির জন্য যায়।একঘেয়ে শরীর আর বিছানায় নিজের অপূর্ণতা ঢাকার জন্য এ উপায় মন্দ না।আজকাল এসব আমাকে নাড়া দেয়না।'


মৃধা কি বুঝলো আমি জানিনা,শুধু বললো,

- 'তুই জানতি রিনি।'

আমি উত্তর না দিয়ে হাসলাম।


.


আজ আবারও হাঁটতে গেলাম পার্কে।সায়েম সাহেবকে দেখলাম চা খাচ্ছে।


আমাকে দেখেই টোটনকে বললো,

-- 'দেখেছিস বলেছিলাম না সেদিনের আন্টি আসবে, নে নে চা বানা।'


আমি হেসে পাশের বেঞ্চিতে বসে পড়লাম। আমার পার্কে যেতে ভালো লাগে।কাজের ফাঁকে সায়েমকে নিয়ে ভাবতেও ভালো লাগে।এই যে,আমাকে ভুল বুঝে ফেললেন তো!কি আর করার সত্যি বলেছি।প্রতিদিন সকালের এই সময়টা আমার দিনের মধ্যে প্রিও সময়।রোজ ঘরে ফিরে দেখি তাহির উঠে পড়েছে।ও বেশিরভাগ দিন টেরই পায়না আমি বাইরে গিয়েছিলাম।মাঝে একদিন শুধু বিকট শব্দে হাই তুলে বললো, ‘কই গেছিলা?’ আমি বললাম, ‘পার্কে হাঁটতে যাই।’ ও আবার বিকট হাই তুলে মোবাইলে মনোযোগ দিলো।আমি ঢুকে গেলাম রান্নাঘরে।


সেদিন সায়েমকে বললাম,

-- 'আচ্ছা আজকাল নাকি পুরুষরা খুব সোচ্চার ‘পুরুষ নির্যাতন’ নিয়ে? তারা না-কি আইন চায়,ব্যাপারটা ইন্টারেস্টিং তাইনা?'


সায়েম চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে বললো,

-- 'ইন্টারেস্টিং তো বটেই।তারা বোকা প্রজাতির না হলে আইন কি আর চাইতো?'


আমি ভ্রু কুঁচকে বললাম,

-- 'পুরুষেরা বোকা?'


সায়েম আমার দিকে তাকিয়ে বললো,

-- 'বোকা তো বটেই।তানা হলে নিশ্চয়ই চিন্তা করতো নারী নির্যাতনের সবই শারিরীক। আর কেবল সেই নির্যাতনগুলোরই আইন আছে।পুরুষের সাথে শারিরীক শক্তিতে পেরে ওঠা সম্ভব না।আর পুরুষেরা যে নির্যাতনের কথা বলে সেগুলো মানসিক।মেয়েরা যদি মানসিক নির্যাতনের জন্য লড়াই করতো।দেখতেন প্রতিদিন হাজার হাজার পুরুষ অ্যারেস্ট হয়ে যেত।


আচ্ছা বউ আদর নামের কোনো শব্দ শুনেছো?না শোনোনি কারণ এটির অস্তিত্ব নেই।জামাই আদরের আছে।শ্বশুর বাড়ি মানেই পুরুষের জামাই আদর আর নারীদের হাজারো নিয়ম মানিয়ে চলার মেনে চলার স্থান।'


আমি বিস্মিত হলাম।এভাবে তো কখনো ভেবে দেখিনি।একটা পুরুষ এভাবে ভাবতে পারে তাও ভাবিনি।আমি মুগ্ধ হয়ে সায়েমের দিকে তাকালাম।আচ্ছা আমি কি লোকটার প্রেমে পড়ে যাচ্ছি!ছি ছি এসব ভাবনা ভাবাও অন্যায়। তবু কেনো প্রতিদিন ভাবছি।


প্রতিদিন সকালের ঐ বিশ মিনিট তার সাথে আমার কথা হয়,দেখা হয়।বাকিটা সময় তাহিরের ঘরে ফিরে আমি ঘরকন্না সামলাই।কিন্তু মন পড়ে থাকে সায়েমের প্রতিটি কথায়।এমন প্রচন্ড অন্যায় চিন্তার সাথে আমি দিনাতিপাত করছি।এমন অন্যায় চিন্তা কারো সাথে ভাগাভাগিও করা যায়না।অথচ আমি সায়েম সম্পর্কে কিছুই জানিনা।সেও জানেনা।কখনো একে অপরকে জিজ্ঞেসও করিনি কে কোথায় থাকি।আমার জানতে ইচ্ছে হয়নি,তারও বোধহয় হয়নি।আমি ছোট্ট একটা নিশ্বাস ফেললাম।


সায়েম বললো,

-- 'আমার সম্পর্কে কিছু জানতে চাইলে জিজ্ঞেস করতে পারো,তোমার সম্পর্কে কিছু বলতে চাইলে আমি শুনছি।'


আমি হেসে বললাম,

-- 'আমি একদিন আপনাকে রেঁধে খাওয়াতে চাই।এটুকু তো জানি।আপনি একা থাকেন।আপনার বাসায় নিমন্ত্রণ করবেন?'


বলেই ভাবলাম,‘ছি ছি কি ছ্যাবলামোটাই না করে ফেলেছি।’


সায়েম হাসলো।ওর সেই উচ্ছ্বল নির্মল হাসি।


বললো,

-- 'অবশ্যই আরো আগেই করতাম। হুট করে ব্যাচেলর বাসায় কোনো মহিলাকে দাওয়াত করা যায়না তো,তাই করিনি।'


আমি উত্তর দিলাম না।মনে মনে ভাবতে লাগলাম, তাহিরকে কি বলে বেরোবো বাসা থেকে।



إرسال تعليق (0)
أحدث أقدم